
মিজানুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
জুলাই কন্যা সুমাইয়া জামায়াতে ইসলামের রোকন নেতা আনোয়ার হোসেন এর মেয়ে।সুমাইয়ার মা একজন রোকন নেত্রী।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ধারিয়া গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর রোকন আনোয়ার হোসেন এর কন্যা মোছাঃ সুমাইয়া মোস্তাকিম আফিফা মৃত্যু শয্যায় লড়ছেন। তিনি গুরুতর থেলাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত, বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
সুমাইয়ার পিতা আনোয়ার হোসেন একজন সাধারণ মানুষ। আর্থিক অনটনের কারণে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন সুমাইয়া, কিন্তু এখন তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করা পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সরকারি ই-আলিয়া মাদ্রাসা, ঢাকা’র ২০২৫ সালের আলিম পরীক্ষার্থী সুমাইয়া বরাবরই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। সামাজিক কাজে, বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু আজ তিনি নিজেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন- অথচ পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই।
তার চিকিৎসার জন্য জরুরি আর্থিক সহায়তা প্রয়োজনে মানবিক দিক বিবেচনা করে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি, সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে ।
রাজপথে নির্ভীকভাবে অংশ নেওয়া সেই জুলাই যোদ্ধা এখন জীবনের লড়াইয়ে একা—চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে থেমে গেছে তার চিকিৎসা।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত করুণ। প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করাই যেখানে চ্যালেঞ্জ, সেখানে চিকিৎসার খরচ চালানো তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সুমাইয়ার এই অসহায় অবস্থার খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত হওয়ার পর, ২৪ঘন্টার মধ্যে বিষয়টি দ্রুত বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নজরে আসে। প্রতিবেদনটি দেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান গভীরভাবে মর্মাহত হন এবং মানবিক উদ্যোগ নেন।
তারেক রহমানের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৬ই নভেম্বর-২০২৫) অসুস্থ সুমাইয়ার চিকিৎসার জন্ আর্থিক সহায়তা নিয়ে শিবগঞ্জে সুমাইয়ার বাড়িতে যান বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী জননেতা মীর শাহে আলম। সুমাইয়ার বাসায় গিয়ে অগ্রিম ১ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে বলেন এবং পরবর্তীতে সমস্ত খরচ বহন করার আশ্বাস দেন মীর শাহে আলম।
এ বিষয়ে মীর শাহে আলম বলেন, সুমাইয়া জুলাই আন্দোলনের প্রতীক—তার সংগ্রাম ও ত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা। তার পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।
সুমাইয়া বলেন, বাবা মা দুজনেই জামায়ের রোকন হয়েও জামায়াতের পক্ষ থেকে পায়নি কোনো সহযোগীতা।আর্থিক সহযোগিতা দূরের কথা ফোন দিয়েও খোজঁ নেইনি কেউ।
এ বিষয়ে জামায়াত নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি একজন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন রোকন হিসেবে সংগঠন থেকে আমার পাশে দাড়িয়ে আর্থিক সহায়তা তো দুরের কথা, সান্ত্বনা পর্যন্ত দেয়নি , যেখানে জামায়াত থেকে কেও ফোন দিয়েও খোজ খবর নেয়নি সেখানে বিএনপি পরিবার আমার অসুস্থ কন্যার সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।আমরা তারেক রহমান ও মীর শাহে আলমসহ বিএনপি পরিবারের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
তদন্ত বাংলা মিডিয়া লিমিটেড,কপিরাইট © তদন্ত প্রতিদিন - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply