বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজনে ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রংপুরের মিঠাপুকুরে পালিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ একত্রিত হয়ে দিনটিকে পরিণত করেছে মিলনমেলায়।
উৎসবের সূচনা হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, যাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন মিঠাপুকুরের ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ, জামায়াতে ইসলামীর রংপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মমিন মন্ডল, পিআইও মনিরুজ্জামান, ওসি আবু বক্কর সিদ্দিকসহ স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “পহেলা বৈশাখ শুধু একটি দিনের উৎসব নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির প্রতীক। আমরা যে যার ধর্মে থাকি, তবে উৎসবে সবাই একসাথে মিলিত হই—এটাই আমাদের শক্তি।”
দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পর মিঠাপুকুর বাজার বণিক সমিতির উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী পান্তা-ইলিশ ভোজন, যা আনন্দে যোগ করে ভিন্নমাত্রা।
পান্তা ভাত সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা থাকলেও পুষ্টিবিদদের মতে এটি স্বাস্থ্যসম্মত। আয়রনসমৃদ্ধ এই খাবার রক্তশূন্যতা দূর করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরকে চাঙ্গা করে। এছাড়া এতে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া হজম শক্তি বাড়ায় ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পান্তা ভাত নিয়মিত খেলে শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমে, আলসার ভালো হয় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। সকালের নাস্তা হিসেবে পান্তা খেলে সারাদিনের জন্য শক্তি ও উদ্যম বজায় থাকে।
এভাবেই প্রাণের বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে মিঠাপুকুরবাসী তুলে ধরেছে বাঙালি সংস্কৃতির রঙিন চিত্র ও ঐক্যের বার্তা।
তদন্ত বাংলা মিডিয়া লিমিটেড,কপিরাইট © তদন্ত প্রতিদিন - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply